Thursday, August 27, 2009

আমার তুমি


আমি বৃষ্টিভেজা বিকেল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম জেনো,
তুমি শিশির ভেজা পায়ে এসে আমার শব্দ শোনো,
আমি আগমনীর সুর তুলেছি শরত্‌ আলোর প্রাতে,
তুমি সেই সুরে যে সুর মেলালে আমার সাথে সাথে।
আমি অস্তরাগের রাগ-রাগিনী তোমার কান্না হাসি,
তুমিই আমার ইমন-বেহাগ তোমার কাছে আসি,
আমি তোমার দুখে দুখী, সুখের নতুন পাখী,
তুমিই আমার সুখের দোসর দুখ ভোলাতে ডাকি।
আমি অবাক হয়ে ভাবছি বসে আসছো তুমি রাণী,
তুমি সাজো নিজে, সাজাও আমায় ওগো আগমনী !
আমি তোমার আধফোটা ফুল, তোমার জন্য ফুটি,

তুমি আমায় নাও যে কোলে, তোমার পায়ে লুটি ।
আমি তোমার চঞ্চল গান, উচ্ছল প্রাণ-বীণা,
তুমি আমার সুরের ছন্দে গানের উপাসনা ।

Wednesday, August 26, 2009

পূজো আসছে


পূজো পূজো গন্ধ নিয়ে শিউলি ভেজা শরত্‌রাণী,
নীল আকাশে মেঘের ভেলায় ভাসছে সুরে আগমনী
কুমোরপাড়ায় ঠাকুর গড়া, সাজো সাজো রব সারা পাড়া ,
পাড়ার পূজো, পূজো বাড়ীর, চাঁদা তোলা, যোগাড় শাড়ির,
ও পাড়ার ঐ অমুক বাড়ির, পূজো এবার তাড়াতাড়ি
মন বসে না ধারাপাতে, ইতিহাস আর ভূগোলেতে,
লাল জরিপাড় হলদে শাড়ি, ব্যোমকাই বা বালুচরী,
হাল ফ্যাশনের রকমারী, কুর্তা, কামিজ আর কেপরি,
পূজোর সেল চলছে অনেক, কেনাকাটির ঝামেলা শতেক,
ভীড় ভাট্টায় পকেট কাটা, ছিঁচকে চোরের মজা লোটা,
হৈ চৈ পড়ে গৃহিনী মহলে, পূজোবার্ষিকী কোনটা কি বলে,
চটি জুতোর কত বাহার ! রেশমি-রঙীন কি মজাদার !
কেউ বা কাটায় পূজোর ছুটি, আয়েষে, আরামে বেড়িয়ে উটি,
হয়তো আবু কিম্বা পুরী, নাকি প্যান্ডেল হপিং আর হুড়োহুড়ি,

খোয়াই হাটের বিকিকিনি, কাঁথার কাজের পসরা আনি,
ছোট্ট ছেলে আদুড় গায়ে, মায়ের পাশে ব্যস্ত পায়ে,
ঢাকের আওয়াজ শুনতে পেল, কাশের ঝালর বুলিয়ে গায়ে, রাঙামাটির পথে গেল!

Friday, August 21, 2009

বাড়ি বদল


আজ বড় কষ্ট হল । বুকের মধ্যে কেন জানি তোলপাড় হতে থাকল । গলার কাছে কিছু জমা কথা দলা পাকাতে লাগল ।কি জানি আজ কেন যেন চোখের কোণে জল এসে গেল । চোখের জল নিয়ে বিয়ের কনে হয়ে এসেছিলাম এই বাড়ি, আজ এই বাড়ির সাথে আমার কেন যে হল আড়ি! পুরোণো বাড়ির প্রতিটি ইঁট-কাঠ, শান বাঁধানো রোয়াক, গন্ধরাজ,করবী,কামিনী ফুলের মায়া, টুকটুকে লাল মেঝে, আমার ঘরের পাশে একফালি ছাদ, আমার তুলসীতলা, বটের বনসাইয়ের কোলে শিবলিঙ্গ, দক্ষিণের বারান্দা ....সবকিছুর জন্যে বড় কষ্ট হল আজ।
বাড়ির অনেক বয়স হল যেমন অনেক সুবিধে ছিল, অনেক অসুবিধে ও ছিল। আমাদের ছোট্ট গ্যারাজের ছোট্ট গাড়িটাও আর রাখা গেল না.. নিয়ম হয়েছে ..আমি মাঝখান থেকে বড় কষ্টে র‌ইলাম। লাল মেঝের চওড়া চওড়া দালান ,করিডোর, পেল্লায় বৈঠকখানা, লম্বা সিঁড়ি ...কিছুই রাখা যাবে না..কাজের বৌ মুছতে চায়না, বেশি পয়সা পেলেও না। তারাও সুখী আজকাল ।
অল্প কষ্ট করে বেশি রোজগারের অনেক পথ হয়েছে যে । তাই আমার বড় কষ্ট হত।
বিয়ের আগে দূর থেকে বাড়িটা দেখেছিলাম..বিয়ের বেনারসী কিনতে গিয়ে। বিয়ের পরদিন সকালে এসে পা দিয়েই মনে হয়েছিল "আমাকে এই বাড়ির যোগ্য বৌ হতে হবে " বাবা ও তাই বলেছিলেন । একতলা থেকে দুধে-আলতা পায়ে তিনতলা অবধি গুরুজনদের প্রণাম করতে করতে কোমর ব্যথা হয়ে গেছিল। ফুলশয্যার রাতে খড়খড়ির দরজায় আড়ি পেতেছিল সব জায়েরা, আজও লজ্জায় মুখ ফুটে জিগেস করতে পারিনি। ফিস্‌ফিস্‌ করে সেই রাতে ওকে বলেছিলাম, খড়খড়িতে চাদর জড়াতে ...অনেক ফাঁক থাকে যে...সকলে যে আমাদের কথবার্তা শুনতে পাবে ।
বাড়ি পুরোণো হতে লাগল। যে কোনো দিকে তাকালেই মনে হয় সারানো দরকার .. ওদিকে ছাদ ফেটে জল পড়া তো এদিকে কার্নিশ ফেটে যাওয়া । আমার তিনতলার ঘর প্রচন্ড গরম .. সব মিলিয়ে কিসের যেন তাড়নায় চলে এলাম বাড়িকে ছেড়ে
ফ্ল্যাট বাড়ি, ভালো আবার খারাপ ও
কত পাওয়া, না পাওয়ার স্মৃতি,
কত শিখে নেওয়া রীতি ।
কত বেগ-আবেগের টানাপোড়েন,
কত হাসি-কান্নার লেনদেন ।
কত আলো-আঁধারের খেলা,
কত আনন্দ-উতসবের মেলা ।
কিছু দেনা-পাওনার হিসেব নিয়ে চললাম আমার নতুন বাড়ি,
পুরোণো ইঁট পুরোণো সেই ঘরের সাথে, আমার হল আড়ি ।
দুপুর বেলা পিওন এসে চিঠি দেবেনা আর,
তরতরিয়ে সিঁড়ি ভাঙার নেই কোনো দরকার ।
বাজবে নাকো কলিংবেল আমার দরজায়,
ক্লান্ত দুপুর বসে থাকবে আমার অপেক্ষায়।
আমার বাড়ি, আমার গরম কাল,
দখিনখোলা লেকের হাওয়া, সন্ধ্যেবেলায় হারিয়ে যাওয়া
শীতের দুপুর, রোদের মেলা, দেখবো নাকো আর,
আমি চলে এলাম বলে কি ই বা হল হাল !!

Tuesday, August 11, 2009

সখী, স্বাধীনতা কারে কয়?



আমরা মনুষ্যজন্ম লইয়া পৃথিবীতে আসিয়াছি ভুলেও ভাবিবেন না যে আমরা মানুষ হইয়াছি আমরা নব্য সংস্কৃতির ধারা বহন করিতেছি মাত্র রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুণধরা এই আধুনিক নগরসভ্যতার যাঁতাকলে পিষ্ট হইয়া যন্ত্রমানবের ন্যায় কর্মবীর হইয়া উঠিয়াছি আমাদের সুদৃশ্য বাহ্যিক রূপোলী মোড়ক দেখিলে ভ্রম হয় , অভ্যন্তরের রক্তমাংসের মানুষটির এহেন অন্তঃসার শূন্য রূপ ? আমরা পাশ্চাত্যের নিকট প্যাকেজিং শিখিয়াছি, কিন্তু প্যাকেটের অন্দরমহলে "quality product" পুরিতে অক্ষম, সে মানুষই হোউক আর জিনিষই হোউক
তৃতীয়বিশ্বের চতুর্থশ্রেণীর নাগরিকগণের নিকট ইহা অপেক্ষা অধিক আশা করাই বৃথা স্বাধীনতার পরবর্তী কালে দেশনেতা সহ আপামর-জনসাধারণ বহুদিনের আকঙ্খিত স্বাধীনতার স্বাদ পাইয়া উহার স্রোতে গা ভাসাইয়া দিল ফলস্বরূপ অল্পদিনের মধ্যেই দেশের অভ্যন্তরে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হইল দেশবাসী এতদিন ধরিয়া সম্মিলিত ভাবে বিদেশীশক্তির আধিপত্য মানিয়া লইতে পারিতেছিলনা |
এক্ষণে তাহারা ক্ষমতাশীল হইয়া একসূত্রের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াতো দূরের কথা, স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ এবং নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করিবার জন্য যাহা করণীয় তাহা লইয়াই ব্যস্ত হইয়া পড়িল
ফলস্বরূপ মতভেদের বিভিন্নতা এবং দলের বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হল ভিন্ন ভিন্ন দলের অগণিত মানুষ গণের বিচিত্র বুদ্ধি, বিভিন্ন মতামত প্রধান্য পাইতে লাগিল এহেন অরাজক পরিস্থিতিতে কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তি 'বাবু' ব্র্যান্ডের তকমা আঁটিয়া বুক ফুলাইয়া সমাজের আনাচে-কানাচে ঘুরিতে লাগিল, কেবলই দলের 'ব্রান্ডেড বাবুদের' নিকট হইতে স্বার্থসিদ্ধির আশায় স্বার্থান্বেষী ব্র্যান্ডেড বাবুরা ধীরে ধীরে দেশের আপামর -জনসাধারণকে 'রাজনীতি' নামক এক ছদ্ম ও অলীক ন্যায়শাস্ত্রের মুখোশ পরাইয়া দিল এবং ক্ষমতার অপব্যাবহার করিয়া অশিক্ষিত,মূর্খ অসহায় মানুষদের যেরূপ বুঝাইল তারা সেরূপই বুঝিল শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ এক সুষুম্না-স্নায়ু অবশ করানো এক নঞর্থক মানসিকতায় পুষ্ট হইল
এদিকে ব্যাপক বিশ্বায়নের ঢেউ আছড়াইয়া পড়িল ভারতবর্ষের তটভূমিতে মনুষ্যগণ পাশ্চাত্যের সভ্যতারূপ দুগ্ধের নবনীটুকু গ্রহণ করিতে শিখিল না ,কেবল জলীয় অংশটুকু গ্রহণ করিয়া ভাবিল "কি না হনু"! প্রাচ্যের জলের সহিত পাশ্চাত্যের দুগ্ধের জলীয় অংশটুকুর মিশ্রণে আরো নিকৃষ্ট সভ্যতার তরল-গরল উদ্-গিরণ হইতে লাগিল সমাজের বুকে | প্রতিনিয়তঃ আমরা সেই গরলের আস্বাদ পাইতেছি
গ্রামের মানুষ এ যুগেও অশিক্ষা ও কুশিক্ষার বাতাবরণে কালাতিবাহিত করিতেছে অনেক নিকটবর্তী গ্রামে মানুষ একালেও চিকিত্সার অভাবে প্রাণ হারাইতেছে এমনকি শহরেও বিদ্যালয়,মহাবিদ্যালয় , বিশ্ব-বিদ্যালয় , হাসপাতাল, পথ-ঘাট, সর্ব ক্ষেত্রে সুচিন্তিত পরিকাঠামো এবং দেখভালের অভাবে ভাঙিয়া পড়িতেছে
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অবাধ ব্যক্তিস্বাধীনতা, নেতাগণের স্বেচ্ছাচারিতা, 'বীরভোগ্যা' বসুন্ধরার সম্পদের যথেচ্ছাচার, সরকারী অর্থের অপব্যবহার ,মানুষের নেতিবাচক মানসিকতা , পূর্বতন নেতাগণের অযোগ্য উত্তরসুরি ....এই ষড়রিপু দেশের মানুষকে আষ্টে-পৃষ্ঠে বাঁধিয়া , দেশের অর্থনৈতিক,সামাজিক, নৈতিক সর্বক্ষেত্রে ঘুণ ধরাইয়া দিল স্বাধীনমানুষ মূল্যবোধকে বিসর্জন দিয়া সভ্য হইল রাজনৈতিক নেতাগণ কেহ চাকরি, কেহ বসতবাড়ি , কেহ পদমর্যাদা ....এইসব মহত্স্বার্থে গণতন্ত্ররক্ষার বৃহত্-কর্তব্যে অবহেলা করিল আমরা শিখিলাম বহুতল ফ্ল্যাট-কালচার, লেট্-নাইট পার্টি-কালচার , ডিস্কোথেক কালচার কম্পিউটারাইজেশন হইল | শুরু হইল কেব্-ল্-টিভি , ইন্টারনেট , মোবাইলফোন , ইত্যাদি অত্যাধুনিক পরিষেবা | আরো সভ্য হইলাম শিশু হারাইল শৈশব এবং যৌবনের পূর্বেই যৌবনের দায় লইতে পারিয়া যার-পর-নাই কৃতার্থ হইল প্রৌঢ়েরা পাত্তা না পাইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে শিঙ ভাঙিয়া বাছুরের দলে প্রবেশ করিল | বৃদ্ধেরা উত্যক্ত হইয়া ব্যাপক বিশ্বায়নের ঊর্মিমালায় খাবি খাইতে খাইতে বাণপ্রস্থ লইয়া বৃদ্ধাশ্রমে বাস করিতে লাগিল সমাজের অলিগলি দুষ্কৃতি দুরাত্মাদিগের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হইল শিক্ষক অধ্যাপক এবং চিকিত্সক হারাইল মূল্যবোধ নর-নারীগণ লাজ-লজ্জা জলাঞ্জলি দিয়া একাধিক অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হইল
এরূপে শুরু হইল সমাজের সর্বস্তরে অবক্ষয়স্বাধীনতার আনন্দে সমাজে হইল বহু নায়ক... পুরুষ নায়ক, স্ত্রী নায়ক, শিশু নায়ক |
মানুষ গোষ্ঠীভুক্ত হইয়া পড়িল এবং নিজেদের মধ্যে কলহ বাধাইয়া ফেলিল দেশব্যাপী 'সভ্য' হইবার হিড়িক পড়িয়া গেল কিশোর উপেক্ষা করিল কৈশোরকে আর অচিরেই পদার্পণ করিল যৌবনে | সহসাগত যৌবনের আস্বাদ গ্রহণ করিয়া নবীন প্রজন্ম আগলহীন নব্য-সংস্কৃতির বোরখা পরিয়া লইল অনেক প্রত্যন্ত গ্রামে একালেও প্রাথমিক বিদ্যালয় , বিদ্যুত এ সব বিরল একান্নবর্তীপরিবার বিভাজিত হইয়া এককোষী পরিবারে পরিণত হইল |
স্বাধীনতার প্রাক্কালে যখন দেশশুদ্ধ মানুষ যখন প্রাণ ঢালিয়া স্বাধীনতা দিবস উদ্-যাপনে ব্রতী হইয়াছে তখন মনে হয় কিসের জন্য তাহাদের এত উত্সাহ? পাড়ায় পাড়ায় তরুণ-তরুণী স্বাধীনতা পালন করিতেছে, মাননীয় নেতাগণ বীরবিক্রমে কন্ঠনালী ফুলাইয়া গগনভেদী চিত্কার করিয়া বাতাস ভারী করিতেছেন, প্রচারমাধ্যমগুলি প্রতি পলে পলে স্বধীনতার সংগীত , প্রতি দন্ডে দন্ডে স্মৃতিচারণ , সকালে স্বাধিনতা সংগ্রামের উপর তথ্যচিত্র তো বিকালে ছায়াছবি, প্রদর্শন করিতেছে | কখনো বিরলকেশ ,বর্ষীয়ান নেতাকে বহুকষ্টে উপস্থিতপূর্বক তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা আমাদিগকে পরিবেশন করিতেছেন ,শহীদ-স্মৃতি ফলক শ্বেত-পুষ্পের অবগুন্ঠনে চলিয়া গিয়াছে, ব্রিগেডের মৃত্তিকা পুষ্পবৃষ্টিতে ছয়লাপ হইয়াছে,শহীদমিনারের পাদদেশে লক্ষ মানুষ ভীড় করিয়া নেতাগণের জ্বালামুখী বক্তৃতা শুনিতেছে, সারাদেশের আকাশে বাতাসে স্বাধীনতার পাঞ্চজন্যের বজ্রনিনাদ অনুরণিত হইতেছে তখন স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে , কেনই বা এই উত্সব? কি জন্য পাইয়াছিলাম স্বাধীনতা? আমরা কি স্বাধীনদেশের যোগ্য উত্তরসুরী?




Thursday, August 6, 2009

রাখী রাখিও না হাতে !!

বাঙলার মাটি, বাঙলার জল, বাঙলার বায়ু, বাঙলার ফল
রাখী বাঁধি হাতে, ছোরা নিয়ে সাথে, রাখি হাতে হাত, চলি দলে দল |
আকাশের বুকে কালো ধোঁয়া ছায়, বারুদের ঘ্রাণে বায়ু বিষময়
হাতে রাখি হাত, বাঁধি রাখী তায়, পাছে প্রাণ যায়, মনে ভয় হয় |
মানুষে মানুষে শুধু হানাহানি, হিংসা-কলহে বড় টানাটানি
বাঁধি রাখি আমি বন্ধুর এক হাতে বিষ দিই তার অন্য আরেক হাতে |
মিছরির কুচি পুরে নিয়ে মুখে, ছুরি খানা গুঁজি বন্ধুর বুকে
ভয় হয় যদি কেউ দেখে ফেলে , জরিময় রাখী বেঁধে দিই সুখে।
কত শত রাখী বাজারে এসেছে রাখি না কো তার খোঁজ
শুধু ভাবি মনে রাখী বাঁধবার কি এ প্রহসন রোজ?

Sunday, August 2, 2009

ভালো থেকো বন্ধু

বন্ধু হয়ে বন্ধু থেকো হাত বাড়িয়ে হাতটি ধরে,
যেমন করে লতায়-পাতায় মিলেমিশে আছে দূরে,
ঠিক এমনি করে থেকো পাশে,
যেমন করে নদীর জলে নৌকো ভেসে দূর থেকে দূর ঐ যে আসে,
ঠিক এমনি করে এসো কাছে, যেমন করে মৌমাছিরা ফুলের পাশে পাশে আছে|
এমনি করেই থাকো তুমি, যেমনটি ঠিক সূর্য ওঠে, চাঁদ হাসে আর তারা ফোটে।
যেমন খুশি এসো পাশে, ফুলের কাছে প্রজাপতি হয়ে এসে ভলোবেসে।
ভালো থেকো তুমি বৃষ্টি ফোঁটায়,
ভালো থেকো তুমি শিউলি ঝরায়,
আর ভালো থেকো তুমি আলোয়-আঁধারে,
ভালো থেকো কুয়াশা ঘেরা দূরের ঐ পাহাড়ে।
ভালো থেকো স্বপ্ন নিয়ে, ভালো থেকো সুরে ছন্দ নিয়ে,
ভালো থেকো আকাশের নীলে, ভালো থেকো সাগরের জলে।