Monday, October 26, 2009

দ্রৌপদী এবং সীতা -- দুই বিতর্কিত নারী চরিত্র

মহাভারত ও রামায়ণ, এই দুই মহাকাব্যের দুটি অবিসংবাদিত নারী চরিত্র হল যথাক্রমে দ্রৌপদী ও সীতা । এঁরা দুজনেই ভূমিকন্যা; দ্রৌপদী যজ্ঞাগ্নি সম্ভূতা এব্ং সীতা লাগ্ঙল চালনার ফলে ভূমি থেকে উত্পন্না । এরা উভয়েই রাজনন্দিনী। বিবাহের জন্য স্বয়ংবরা হযে দুই মহাকাব্যের সবচেযে বীরত্বপূর্ন রাজপুরুষ কে স্বামীরূপে লাভ করেছিলেন |মহাভারতের যুগে অর্জুন ও রামায়ণের যুগে রাম অপেক্ষা বড়ো ধনুর্ধর আর কেউ ছিলেন না। বিবাহের পরে স্বামীসহ দ্রৌপদীর হয়েছিল তের বছর অজ্ঞাতবাস, সীতার চৌদ্দবছর বনবাস। যার ফলে উভয়ের জীবন হযেছিল ঝঞ্ঝাটময়, বিপদগ্রস্ত ও অশান্তিপূর্ন। আর যার ফলস্বরূপ রাজবধূ,রাজনন্দিনী সীতা ও দ্রৌপদী উভয়েই হযেউঠেছিলেন দুইটি অসুখী সংসারের দুই তিতিবিরক্ত নারী।


এত সাদৃশ্যপূর্ন দুই নারী চরিত্র কিন্তু ছিল বৈসাদৃশ্যে ভরা। সাহিত্যের পরম্পরা অনুযাযী এই দুই পৌরাণিক মহাকাব্য প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।কিন্তু মহাভারত হল ইতিহাস | রামায়ণ হল কাব্যগ্রন্থ। মহাভারতের চরিত্রগুলির বিন্যাস, বিভিন্নতা বৈচিত্রপূর্ন। আমাদের সমাজের মত সেখানে যেমন আছে নায়ক তেমনি আছে খলনায়ক। সত, অসত, মূর্খ, জ্ঞানী, সুন্দর, কুত্সিত এ সব ধরনেরই চরিত্র স্থান পেযেছে সেখানে, কিন্তু রাময়ণের কাব্যকার প্রাধান্য দিযেছেন কেবল ই আদর্শবান চরিত্রগুলোকে।সৃস্টি করেছেন আদর্শ মানুষ কে , আদর্শ নারীকে , আদর্শ ভ্রাতাকে অথবা আদর্শ খলনায়ককে। রামায়ণ মুখ্যত একনায়কের কাহিনী, নায়ক রামচন্দ্রের আদর্শের উপস্থাপনা ও মাহাত্ম্যকীর্তণ স্থান পেয়েছে সেখানে।


রামচন্দ্র লাভ করেছিলেন কোমল-পেলব-নিষ্পাপ নিষ্ঠাবান রূপবতী জনক-নন্দিনী কে। চারিত্রিক দৃঢ়তা দিয়ে রাম নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন আদর্শ পুত্র বা ভ্রাতা হিসেবে,আদর্শ স্বামীরূপে নয়। যার জন্য সন্তানসম্ভবা সীতা হযেছিলেন আশ্রমবাসিনী। দুঃখে, শোকে, লজ্জায় চরম অপমানিতা হয়ে পুনর্বার প্রবেশ করেছিলেন ভূগর্ভে।সীতার পিতা জনক রাজা না কি মহত ছিলেন- একথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু কার্য কালে জনকের মহত্ত্বের কোনো প্রকাশ দেখিনা। রামায়ণে রাজকন্যা সীতার খোঁজ নিতে , বা তাকে বিপদের সময় সাহায্য করতে বা তাকে উদ্ধার করতে তাঁর পিতৃকুলের কেউই এগিয়ে আসেননি সেদিন। অপর দিকে দ্রৌপদীর পিতা পাঞ্চালরাজ দ্রুপদ বহু আকাঙ্খিত পুত্র লাভের আশায় যে যজ্ঞ করেছিলেন সেই যজ্ঞের অগ্নিসম্ভূতা কন্যা হলেন আদরিণী দ্রৌপদী, যিনি কখনো কৃষ্ণা, কখনো বিদেহী , কখনো পাঞ্চালী, কখনো বা যাজ্ঞসেনী। অতএব এ যুগের একমাত্র কন্যার মত সে যুগেও নাম নিয়ে কত আদিখ্যেতাই না হয়েছিল দ্রৌপদীর! আবার মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে দ্রৌপদীর ভ্রাতা ধৃষ্টদ্যুম্ন পঞ্চপান্ডবের পক্ষে প্রধান সেনাপতির ভুমিকা নিয়েছিলেন। ঠিক যেমন এখনকার কালে আদরের একমাত্র বিবাহিত বোনের বিপদে আপদে ভগ্নীপতির পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর ভ্রাতা। অভাগিনী সীতা কি তাহলে অবাঞ্ছিতা? যার জানকী বা সীতা অর্থাত্ "লাঙল চিহ্নিত রেখা" ছাড়া অন্য কোন আদরের নামও জোটেনি। যদিও দ্রৌপদী রাজা দ্রুপদের এবং জানকী রাজা জনকের পালিতা কন্যা ছিলেন।


কৌরবদের চক্রান্তে ধাবিত, ছদ্মবেশী পঞ্চপান্ডব দ্রুপদের রাজসভা থেকে দ্রৌপদীর ন্যায় রূপবতী ও গুণবতী স্ত্রীধন লাভ করে রাজকন্যা ও রাজত্ব ছাড়াও পেয়েছিলেন সামাজিক মর্যাদা। অন্যথায় রামচন্দ্র নিজ পরিচয়ে রূপবতী সীতাকে লাভ করে বরং সীতার রাজমর্যাদাই এক ধাপ বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন-- এর বেশি কিছুই নয়। হ্যাঁ একথা অনস্বীকার্য যে সীতা ছিলেন কেবল-ই রামের সম্পত্তি। কিন্তু দ্রৌপদী ছিলেন বহুবল্লভা, নাথবতী অনাথবত-- পঞ্চপান্ডবের সম্পত্তি। এবং সম্ভবত এই কারণেই পান্ডবভ্রাতাদের মধ্যে একতা, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ কে দ্রৌপদী তাঁর জীবনের শেষ পর্যন্ত এক সুতোয় গেঁথে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর জন্য ই পান্ডবরা বুঝতে পেরেছিলেন যে একতাই বল।


আক্ষরিক অর্থে উভয়েরই বনবাস হয়েছিল। দ্যূতক্রীড়াসক্ত স্বামী রাজ্যপাট হারিয়ে দ্রৌপদীকে বাধ্য করেছিলেন বনবাসিনী হতে। অন্যথায় সীতার বনবাস ছিল তাঁর আদর্শ স্বামীর সত্যরক্ষার প্রতীক স্বরূপ। দ্রৌপদী বনবাসে থাকাকালীন অবস্থায় আগের মতই তাঁর পাঁচ স্বামীর প্রতি যথোচিত কর্তব্যপরায়্ণা ও নিষ্ঠাবান ছিলেন। তাঁর সপত্নীগণ সেই সময় তাঁদের নিজ নিজ পিত্রালয়ে সুখেই কালাতিবাহিত করেছেন। দ্রৌপদী তাঁর সপত্নীদের প্রতি বিন্দুমাত্র ঈর্ষাপরায়ণ না হয়ে যেমন সুসময়ে তাঁদের পাশে ছিলেন, ঠিক তেমনই দুঃসময়েও তাঁদের অনবরত মনোবল ও সাহচর্য যুগিয়ে গেছেন।


অজ্ঞাতবাসে থাকাকালীন দাদা ধৃষ্ট্দ্যুম্ন যখন দ্রৌপদীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, তখন তিনি ছোট্ট এক বালিকার মত নিদারুণ অভিযোগের সুরে ডুকরে কেঁদে উঠে বলেছিলেন "আমার কি স্বামী, ভ্রাতা, পিতা কেউ নেই ?থাকলে আজ রাজসভায় বিবস্ত্রা হয়ে এমন অপমান সইতে হত না।" কিন্তু হায় অসহায়া অভাগিনী ভারতের নারী! কত লাঞ্ছনা ও অপমান সহ্য করেও স্বামী বা ভ্রাতাকে পরিত্যাগ করেননি তিনি। তাঁর দুঃসময়ে পাশে এসেছেন সেই প্রবাদপুরুষ পার্থসারথি যিনি আগাগোড়া মনোবল যুগিয়েছেন শুধু দ্রৌপদীকেই নয় প্রণাধিক প্রিয় অর্জুন সহ বাকি চার পান্ডবকে। শোকে দুঃখে, অপমানে অবিচলিত সেই পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণের জন্য্ই পান্ডবরা কুরুক্ষেত্রে জয়লাভ করেছিলেন। ন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, ধর্মরাজ্য গড়ে তোলার অমোঘ বাণী প্রচার করেছেন। পাঞ্চজণ্যের বজ্রনিনাদে অনুরণিত হয়েছে ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠার বাণী। সেই অনুরনণে অবিচলিত দ্রৌপদী হাল ছাড়েননি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। শ্রীকৃষ্ণের কৃপাধন্যা দ্রৌপদীর উদ্দেশ্যে বর্ষিত হয়েছে তাঁর অগণিত স্নেহবারি। তাঁর ধৈর্য্য , সহ্য ,মনোবল এব্ং আত্মপ্রত্যয় প্রশংসার দাবী রাখে। সেই কারণে দ্রৌপদী পঞ্চকন্যার সঙ্গে স্মরণ্যা ও বরেণ্যা।


অন্য দিকে অযোধ্যায় পৌঁছায়নি যুদ্ধের দাবানল। বনবাসে বিন্দাস রামচন্দ্র, সীতার সঙ্গে নিভৃতে ঘটনাবহুল মধুচন্দ্রিমা যাপনের রঙ নিয়ে তুলিতে টান দিয়ে পাড়ি দিয়েছেন সুদূর লঙ্কায়। রাবণের হাত থেকে সীতাকে রক্ষা করেছেন ও রাবণ বধ করে বীরত্বের তুঙ্গে পৌঁচেছেন। আক্ষরিক অর্থে সীতার যথার্থ ই হিরো তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। প্রজারঞ্জনের জন্য ও লোকলজ্জা এড়াতে সীতাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে বাধ্য করেছেন ও শেষ পর্যন্ত তাঁকে পাতালে প্রবেশ করিয়ে ছেড়েছেন। সেখানেই কি রামের জয় ও সীতার পরাজয়? না কি আদর্শবান রাজার স্ত্রী অপেক্ষা প্রজারঞ্জনকে প্রাধান্য দেবার ফলে নিরপরাধ, অসহায়, অবলা সীতার লজ্জায় এহেন পলায়ন হল। কোন দেবদেবীর আচমকা প্রবেশ বা কোন প্রাকৃতিক শক্তিও সেদিন রক্ষা করতে পারেনি সীতাকে।


দ্রৌপদী ও সীতা উভয়েই বিস্তর ভুল করেছিলেন এবং সেই জন্য জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই ভুলের মাশুলও দিতে হয়েছিল তাঁদের। সীতার ভুল হল মায়াবী সোনার হরিণের হাতছানিকে প্রশ্রয় দেওয়া এবং রাবণের বোন সুর্পনখাকে দেখে ব্যঙ্গ করা। যার ফলে তিনি হলেন রাবণের দ্বারা অপহৃতা ও যা পুরো রামায়ণের গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। অন্যদিকে দ্রৌপদীর ভুল হল, ময় দানব নির্মিত, স্ফটিক খচিত ইন্দ্রপ্রস্থে দুর্যোধনের প্রথম পদার্পণেই পা পিছলে যাওয়া দেখে হেসে ফেলা। পরবর্তী কালে এর চেয়ে অনেক বেশি অপমান তাঁকে ফিরে পেতে হয়েছিল। যেখানে আমরা দেখি, দুঃশাসন তাঁকে বল প্রয়োগে তাঁর বস্ত্র ধরে টেনে এনে ছিল রাজসভায় ও সেখানে বিবস্ত্রা নারীর শরীরী বিভঙ্গ উপভোগ করেছিল এক পাল মেরুদন্ডহীন পুরুষ।


তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে মহাভারতের শেষে পঞ্চপান্ডবসহ দ্রৌপদীর মহাপ্রস্থানের সময় একমাত্র মহাবল ভীমসেন ই দ্রৌপদীর পাশে ছিলেন এবং দ্রৌপদী যেন ভীমকেই পরজন্মে স্বামীরূপে পান-- এরূপ আশা নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রামায়ণে সীতার পাতাল প্রবেশ বা অগ্নিপরীক্ষার সময় কোন প্রবাদ পুরুষ তাঁকে রক্ষা করতে আসেননি। বরং তাঁর করুণ অবস্থা দেখে ধরণীগর্ভসম্ভূতা সীতা যেন ধরণীর গহ্বরেই বিলীন হয়ে যান-- এরূপ দৈববাণীই ছিল উপযুক্ত।

.....................................................................................................
সোনার তরী দুর্গোত্সব কমিটির দ্বারা প্রকাশিত "স্মরণিকা" ২০০৬



Wednesday, October 21, 2009

মরুভ্রমণ যদিও অধরা তবুও মধুর!!!


আসলে সেই অর্থে মরুভ্রমণ হয়নি এবার। আমার ছেলে রাজস্থানের একটি কলেজে এই বছর ভর্ত্তি হয়েছে...তাই সে তো আসতে পারবে না ...তাই আমাদের যাওয়া..তবে কলকাতার ভীড় ছেড়ে পালিয়ে কিছু খারাপ লাগেনি..বরং একটু অন্যরকম দীপাবলী হল এবছর । ময়ূর, টিয়াপাখি, বকের সারি, নিম গাছের এভিনিউ, ঊটের সঙ্গে পথ হাঁটা, কাঠবেড়ালির পায়ে পায়ে লুকিয়ে পড়া, এই সব আর কি ...মাটি থেকে ২৫০ মিটার উঁচুতে সংকটমোচন মন্দির দেখতে গেলাম । বাজিপোড়ানো দেখলাম কলেজের ক্যাম্পাসে । প্রচুর আলো দিয়ে সাজানো কলেজের ঘড়ি-স্তম্ভ...আলো আলো আর শুধু আলোর রোশনাই ..কিন্তু সাথে নীরবতা..এক অপূর্ব নৈসর্গিক শান্ত প্রকৃতি। সকাল হলেই নতুন ঠান্ডা হাওয়ার ছোঁয়া আর কর্কশ কেকাধ্বনি যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিল আলস-লালস পসরা সাজিয়ে শীতের আগমনবার্তা । আমার ছোটবেলায় বাবা মায়ের সাথে রাজস্থান ঘোরা কিন্তু এই বয়সে স্বামী-পুত্রের সাথে ছোট্ট এই গ্রামের মাঝে দিন কয়েক ঘুরে এসে ...কত পাখির কলরব শুনে, কত বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মনে পড়ে গেল..আমি বিন্দুতে সিন্ধুদর্শন করলাম !

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু!!!!

Sunday, October 18, 2009

আমার দীপাণ্বিতা


আকাশ-প্রদীপ জ্বলছিল কার্ত্তিকের কলকাতার কালো আকাশে। ভূত-চতুর্দশির রাতে চোদ্দ-প্রদীপ জ্বালিনি সেবার।
বিয়ের আগে আমার দীপাবলী ছিল এক রকমের ।
দীপাণ্বিতার পূজো, অলক্ষী বিদায় করে ধনতেরসের লক্ষীবরণ, কত জাঁকজমক করে মায়ের ভোগরান্না, কলাপাতার থালায় প্রসাদ বিতরণ, মজা করে ভাই বোনেদের সাথে ঘিয়ের সাদা সাদা লুচি, নতুনশীতের ফুলকপির ডালনা খাওয়া। তারপরে অন্ধকার ছাদে উঠে বাজি পোড়ানো, আর ছাদের প্যারাপেটে সার সার মোমবাতি দেওয়া। আমার দীপাবলী আমার ঘরের দীপাণ্বিতার আলোয় আলোকিত হয় প্রতিবারে।
বিয়ের পরে আমার দীপাবলী এক এক বার এক এক রকমের হয়েছে। কোনো বার কেটেছে শুধু বারান্দায় বসে আলো দেখে, বাজির মালা দেখে, বাজির আওয়াজ শুনে। কোনোও বারে শুধু ঘুরে বড় বড় প্যান্ডেলে কালীঠাকুর দর্শন করে খেয়ে দেয়ে হুল্লোড় করে।
এবছর মরুপ্রদেশের সীমান্ত ঘেঁষে আরাবল্লী ঘেরা ময়ূরের দেশে দেখে এলেম তারে, রেখে এলেম তারে। অনেক দূরে, মরুশহরের পাশে, ছোট্ট গাঁয়ের দেশে, যেথায় ক্লান্ত মরুজাহাজ চলেছে বালির পথের ধূলো উড়িয়ে, গজগামিনী ময়ূর চলে দুলে দুলে মরুসাহারার বাগান দিয়ে, পেখম ঝুলিয়ে, পুচ্ছ দুলিয়ে..
ঝিঁঝিঁর ডাকে, রাতের আকাশে দেওয়ালির আলোয় এ গ্রামের মানুষ আমাকে অনেক কিছু দেখিয়েছে এবার। আতসবাজির কলরব, আকাশের বুকে আলোর রোশনাই, কত রকমের, কত রঙয়ের বাজি! বড় কষ্ট হল হস্টেলের ছেলেদের জন্যে, যারা এবারে দেওয়ালীতে বাড়ি যেতে পারলোনা, যাদের মায়েরা কত রকম খাবার বানিয়ে, থালা সাজিয়ে বসেছিল ..

Monday, October 12, 2009

দীপালিকায় জ্বালাও আলো!


দীপান্বিতার দীপাবলী, আঁধার রাতে প্রদীপ জ্বালি,
অমানিশায় তোমায় পূজি, মনের মাঝে তোমায় খুঁজি,
তোমার রূপের কালোর আলোয়, মনের আশায় সকল ভালোয়
ত্রিনয়নের জ্যোতির ছটা, দূর করো সব অঘটন ঘটা
লোলজিহ্বায় গ্রাস করে নাও, কপট-কলুষ-কালিমালিপ্ত,
অপারকরুণা বর্ষিয়ে তুমি মুছিয়ে ধরা কে করো যে শান্ত

Thursday, October 1, 2009

সোনার তরীর পাঠকদের আমার শুভ বিজয়ার প্র্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই

শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকের দুর্গাপূজার বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠে আমি এবং সুমন দাস বাঁশীতে