Saturday, September 26, 2009
আজ মহানবমী
নবমী নিশি যেন আর না পোহায়,
তোকে পাবার ইচ্ছা মাগো কভু না ফুরায়,
রাত পোহালেই জানি আবার হবে দশমীর ভোর,
আবার তোকে পাবো মোরা একটি বছর পর |
মহা মায়ের মহামায়া, সোনার আলোয় কত পাওয়া
চারটি দিনের কত চাওয়া, ঊমাশশীর উতল হওয়া
কাঁদিস নে মা, আবার তোরে আসবো নিয়ে বছর পরে
Friday, September 25, 2009
আজ মহাষ্টমী

অষ্টমীতিথি সাঁঝের বাতিতে,
আলোকিত হল তোমারি আলোতে,
আজ হলে তুমি আরো সুন্দরী, !
ঘামতেল মাখা মুখপানে চাই,
আলোর পথেতে যেন পা বাড়াই,
তুই যেন মাগো আমাদের সাথে,
থাকিস পাশেতে প্রতি দিনেরাতে,
এইটুকু চাওয়া আর কিছু পাওয়া,
অষ্টমী পুজো শেষের বেলায়,
ভালো আরো বাসি পূজোর হাওয়া ।
আজ মহাসপ্তমী
ধন-ধান্যে বিপুলা প্রকৃতি, সবুজ ধরার পুন জাগৃতি,
নন্দিত তব চরণ পরশে, শস্যশ্যামলা সারাটি বরষে,
পূজি মাগো তোরে মনেরি হরষে, শুক্লা সপ্তমী তিথিতে |
Thursday, September 24, 2009
আজ মহাষষ্ঠী

উদ্ভাসিত মৃন্ময়ী রূপ সোনার প্রতিমা বরণে,
চিন্ময়ী মাগো আনন্দরূপীণী, স্থল-জল শোনে বোধনের ধ্বনি,
আকাশ-বাতাস মুখরিত আজি বন্দিত তব শুভ আগমনী |
Monday, September 21, 2009
আবার নতুন করে পাবো তোকে...

সোনার হাসি ঝরবে মুখে, আলোর বাঁশি বাজবে সুখে,
সুহৃদ- মিতে থাকবে পাশে, যেন আবার শরত্ আসে ।
পূজোর ডালি সাজিয়ে নিয়ে, ফুলের রেণু মেখে গায়ে,
সুগন্ধী ফুল-চন্দন-আবীর ঢালি মোরা তোর দুপায়ে।
তর সয়না আর যে আমার, ঢাকে কাঠি পড়বে আবার,
আনবো তোকে শাঁখ বাজিয়ে, বোধন হবে উলু দিয়ে,
তুই যে মোদের সদাই সহায়, পাঁচ দিনের এই মজার আশায়,
ঘুচিয়ে দে মা আঁধার-কালো, সারা বছর দেখব আলো,
হিংসা-দ্বন্দ দে ঘুচিয়ে, মিথ্যা-কালি দে মুছিয়ে,
আকুল মোরা ব্যাকুল সবাই, (যেন) রাত পোহালেই তোর দেখা পাই ।
Tuesday, September 8, 2009
একালের স্বনামধন্য কবি জয় গোস্বামীর হাতে "মোর ভাবনারে" প্রকাশিত হল মহালয়ার পুন্য লগ্নে

জীর্ণ পাতাঝরার বেলায়, তোমাদের এই হাসিখেলায়, হঠাত্ মনে হল একটি কবিতার বই লেখাই যায়। অনেক কবিতা জমে ছিল। বন্ধু, হিতাকাঙ্খীদের প্রশ্রয়ে, আর সর্বোপরি আমার বাবা শ্রী নরেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্সাহে আজ আমার এই বই প্রকাশিত হল।
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের যাঁরা আমার পাশে এসেছেন, ভালবেসেছেন, আমার লেখার কদর করেছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই সেই সকল শুভানুধ্যায়ীদের, যাদের উতসাহে আমি আবেগ তাড়িত হয়ে, মোর ভাবনাগুলিকে একসূতোয় গাঁথতে সক্ষম হলাম।
বহুদিন ধরেই কাগজে কলমে বাংলা লিখি কিন্তু কম্পিউটারে সহজ, সাবলীলভাবে বাংলা লেখার প্রযুক্তির জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে হাতড়ে মরেছি। খোঁজ পেয়েছি softwareএর, কিন্তু সেগুলি কোনোটাই সেই অর্থে খুব user-friendly নয়। অবশেষে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খোঁজ পেলাম দীপায়ন সরকারের। তাঁর ইউনিকোড-ভিত্তিক বাংলা লেখার softwareএ অতি সহজে বাংলা লিখতে শুরু করলাম এবং আমার বাংলায় ব্লগ লেখার সূচনা হোল। আমি দীপায়নের সহজ প্রযুক্তির সাহায্যে এই বইটি সম্পূর্ণ নিজে টাইপ করেছি আর সব টেকনিক্যাল দিকগুলি দেখেছেন আমার স্বামী ডঃ পৃথ্বীশ মুখার্জি। আমার পুত্র শুভায়ন আমার বইটি অলংকৃত করতে সাহায্য করেছে। সুন্দর প্রচ্ছদের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের পরম সুহৃদ আর্ট কলেজের কৃতী ছাত্র শুভেন্দু দাস কে।
এদের সহযোগিতায় আমার কাব্যমালিকা "মোর ভাবনারে" আজ সফল রূপে রূপায়িত করতে পেরে আমি সত্যি আনন্দিত ।
To purchase this book please use the following form to send me an email
Price is Rs 60 plus postage [ Rs 15 by DTDC within Calcutta ]
Sunday, September 6, 2009
"MAHUL"abrittir Band....an experience!!

"মহুল" নাচল বলে, মাদল বাজা,
মহুয়া ফুটল বনে, মঞ্চ সাজা,
"মহুল" গাইছে সুরে সেন্স্-ননসেন্স্,
ছন্দে ও তালে তালে কথায় এসেন্স।
"আবোল-তাবোলে" বকে,
"হ-য-ব-র-ল"'র ঝোঁকে,
মাতাল "মহুলের" শাঁওলি-পলাশ
কি-বোর্ড-গিটারে সুরে,
অক্টোপ্যাডে তাল ধরে,
হুঁকো-মুখো-হ্যাংলায়, যে আছিস বাংলায়,
শব্দ-কল্প-দ্রুমে বাজা তোরা ব্যান্ড |
"মহুল' বলছে কথা, সেরে যাবে মাথা ব্যথা,
গোঁফচুরি ভুলে গিয়ে দাঁড়ে বসে যা |
"মহুলের" কথা-গান, ছড়া বিগলিত প্রাণ,
দাঁড়ে-দাঁড়ে-দ্রুম্ শুনে জুড়ো তোর কান |
Saturday, September 5, 2009
কলকাতা

ওগো কলকাতা মহনগরী ! সিটি we N joy!
আছে আবেগের স্মৃতি বিজড়িত, “সিটি অফ জয় ” নামে বিখ্যাত ,
বেগের জোয়ারে মানুষের স্রোতে মিছিল নগরী নামে প্রচলিত,
তোমার আমার সবার শহর সিটি we N joy !
কল্লোলিনীর রূপে কেন ভুলি, বারবার সেথা মন দিয়ে ফেলি,
কেন সে বোঝে না ভুলের বশেতে, সে আছে যে জুড়ে আমার মনেতে,
তোমার শহর, আমার নগর, সিটি we N joy !
শৈশবে শীতে আলিপুর জু তে ,কৈশোরে জাদুঘরে ,
কলেজ পাড়ায়, কফি হাউসে ,বানভাসি মোরা জোয়ারে |
ভিক্টোরিয়ার পরী পাখা মেলে ,চড়ি ট্রামে বাসে পাতাল রেলে ,
আমার শহর মেট্রো নগরী সিটি we N joy !
প্ল্যনেটেরিয়াম মন ছুঁয়ে যায় ,হর্টিকালচার হাতছানি দেয়,
গঙ্গাবক্ষে রিভার ক্রুজে, নৌকা, সাঁতারে, স্টীমারে |
আহা সুন্দরী ! বড় রূপসিনী সিটি we N joy!
মেলার শহরে গান মেলা শুনি, বই মেলা হতে বই কিনে আনি,
সিনেমা নাটকে ভরপুর তুমি মুখরিত মেলা নগরী,
কল কল্লোলিনী দেয় হাতছানি সিটি we N joy!
হুগলী ব্রীজের মমতায় মাখা এক্সপ্রেস ওয়ে ধরি ,
যেদিকে দুচোখ চলে যায় মোর স্টিয়ারিং হাতে করি,
জনস্রোতের ভীড় উপছনো রাস্তায় ট্রাম গাড়ি ,
কোলাহল আর আড্ডার মাঝে আছে আমাদের ই বাড়ি,
তারই মাঝে তুমি বাড়িয়েছো হাত, দিয়েছো যে বরাভয় ,
তোমার আমার সকলের রাণী সিটি we N joy!
মশা মাছি আছে আছে কত রোগ, তোমার এখানে কত দুর্ভোগ,
তবু কেন ছুটে আসি বারবার ,এ শহর প্রিয় তুমি যে আমার,
তোমার আমার ভীড়ের নগরী, সিটি we N joy !
গ্রীষ্মে তোমার প্যাচপ্যাচে ঘামে, লোডশেডিং আম লিচু কালোজামে,
বর্ষায় আছে কত জল জমা দেখি আমি বসে তাই,
ওগো সুন্দরী ভেনিস নগরী সিটি we N joy!
শরতে শিশিরে শিউলির ঘ্রাণে, দুর্গামায়ের আগমনী গানে,
মেতে উঠি মোরা ঢাকের বাদ্যে, আলোর বেণু বাজাই।
রূপসিনী তুমি ভুলিয়েছো মোরে সিটি we N joy !
টানা রিক্সায়, অটো রিক্সায়, বাইপাসে গাড়ি স্পিড না নামায়,
রেসকোর্স রেডরোডের মোহেতে, পেরেছি যে ভাল তোমায় বাসতে,
প্রেয়সী তোমার যাদুতে ভুলেছি, সিটি we N joy!
দূষণ ভূষণ হয়েছে তোমারি, কালো ছাপ সারা শরীরে,
বলিরেখা পড়ে বয়সের ভারে, ভুলে গেছ তুমি আমারে,
ওগো সুন্দরী ! চির আদৃতা, ধর্ণা- মিছিলে হয়ো মুখরিতা,
তবু তুমি জানি আমাদের রাণী সিটি we N joy!