
আমাদের এক বিশেষ ভালো বন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছিলাম নিমন্ত্রণ,
সায়েন্সসিটির প্রধান প্রেক্ষাগৃহে, সেরা বাঙালির নির্বাচনের যখন এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ! 
হাজির হয়ে সপরিবারে, যোগ দিলাম ষ্টার আনন্দের মহা কর্মকান্ডে, 
জগতের আনন্দ যজ্ঞে সেরা বাঙালির নির্বাচনে,আমাদের নিমন্ত্রণে, 
প্রতিবার দেখি টিভির পর্দায়, এবার  সপরিবারে, সশরীরে খাঁটি বাঙালিয়ানায়!!  
দন্ডমুন্ডের কর্তা শ্রী অভীক সরকার এককথায় সর্বশুভ্র-শান্ত- সৌম্য বাঙালিয়ানার আইকন ... 
তাঁর সাবলীল বাচন ভঙিমায়, সামান্য কথায়, কিছুক্ষণ !! 
দেখে এলেম তাঁরে..আমার মনে এতক্ষণে "সেরা বাঙালির "সেরা পুরস্কারে,  সেদিনের সন্ধ্যায়,  আমি তাঁকে জানাই পরম শ্রদ্ধায় !ঠান্ডা ঠান্ডা ঘর, সাজানো মঞ্চ, সুমন-স্বস্তিকার সঞ্চালনায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে, সহসা এ.আর রহমানের বিখ্যাত সুরের অণুরণন ঝঙ্কৃত হল ...প্রেক্ষাগৃহ "বাঙলা মা তুঝে সালাম !! বন্দে বিশ্ব বাঙালির তরে বন্দেমাতরম্ !!!বর্ণালির বিচ্ছুরণ! তেরঙার আলোক কিরণ ...এ কি কম্পন ! এ কি শিহরণ !
বাঙালিয়ানার গন্ধ নিয়ে আপ্লুত আমরা মানুষজন!!
এক নজরে সেরার আসনে অলঙ্কৃত বাঙালিরা হলেন :
চলচিত্রের রাহুল বোস, সংগীতের শান্তনু মৈত্র, ক্রিকটের ঝুলন গোস্বামি, সাহিত্যের কেতকী কুশারী ডাইসন, বাণিজ্যে সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায়, 
অভিনয়ে পাওলি দাম, শিল্পকলায় আবির কর্মকার, সেরার সেরা মুকুট মাথায় রণেন সেন এবং লাইফ টাইম পুরষ্কারে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়  ।  
সাথে উপরি পাওনা : ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নৃত্যশৈলি,অভিজিত্ আর শ্রেয়া ঘোষালের অনবদ্য সুর-ছন্দ-তাল-লয়ের মেলবন্ধনে ,বাঙলা এবং হিন্দিগানের ভান্ডার থেকে উন্মোচিত হল একে একে....
এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায় ...বাঙালি হয়ে বাঙালির দরবারে শুধু হাজির হয়েই ধন্য আমি !
